স্বামী নিক নয়, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার শরীরজুড়ে রয়েছে কার নাম জানেন কি?

স্বামী নিক নয়, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার শরীরজুড়ে রয়েছে কার নাম জানেন কি?
নিক তাঁর মনে, শিব তাঁর শরীরে৷ তাই নিয়েই মাত করলেন বলি ডিভা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া৷ প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরীর ওয়েডিং-এর দুধ সাদা গাউনের এমব্রয়ডারিতে ফুটে উঠল ওম নমো শিবায়৷
কথায় বলে অধিকাংশ হিন্দু নারী-ই শিবের মতো বড়ের প্রত্যাশ্যা করেন৷ অত্যাধুনিকতার বহর থাকলেও মনে মনে সেই প্রত্যাশাই পোষণ করেন রূপোলি পর্দার নায়িকারাও৷ যা স্পষ্ট হল প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার খ্রিষ্টান ওয়েডিং-এর গাউন নির্মাতা রাল্ফ লরেনের ট্যুইটে৷


ডিডাইনার লরেন তাঁর ট্যুইটার লেখেন, প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী ও গায়র নিক জোন্সের ওয়েডিং সেরেমনি ছিল তাঁর জীবনের অন্যতম স্মরণীর এক মুহূর্ত৷ প্রিয়াঙ্কার গাউনে তিনি এমব্রয়ডারির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছিলেন কনের পছন্দের জিনিস৷
যেমন সেখানে সুতোর কাজে ফুটে উঠেছিল নিকের নাম, তেমনই ছিল প্রিঙাঙ্কার বাবা, মায়ের নামও৷ ওয়েডিং কোটে লেখা হয়েছিল ওম নমো শিবায়৷ ডিজাইনারের দাবি, এই লেখার মাধ্যেমেই সহজেই বোঝা যায় প্রাক্তন সুন্দরীর পছন্দ, শিকড়ের টান৷
লরেনের ট্যইটের পরই গ্র্যান্ড ওয়েডিং রিসেপশনের সেই গাউন পরিহিতা প্রিয়াঙ্কার ছবি এখন ভাইরাল৷ অমনেকেই বলছেন, ভারতীয় নারীর মতোই কাজ করেছেন প্রাক্তন সুন্দরী৷ অনেকে আবার বলছেন, নিক তাঁর মনের কত গভীরে তা বোঝাতেই এই অভিনব পদক্ষেপ৷

Read More

অতঃপর ভালোবাসা

অতঃপর ভালোবাসা

– তুই আমাকে এখনো ভালোবাসিস ? 

– না

– কেন ?
– কেন আবার কি ?
– ভালোবাসিস না কেন ?
– যখন ভালোবেসে ছিলাম তখন তো মূল্য দিলি না।
– তুই তো আমাকে বলিসনী কোন দিন ?
– তোর বোঝা উচিত ছিলো।
– তুই না বললে কেমন করে বুঝবো ???
– কেমন করে বলব ? বলার আগেই তো তুই ওই ছেলেটাকে আমাদের মাঝে নিয়ে আসলি।
– ও আমার জাষ্ট ফেন্ড ছিলো আর কিছু না।
– আমি তো তোর বেষ্ট ফেন্ড ছিলাম। মাএ দুই দিনের একটা ছেলের জন্য তুই আমাকে ভুলে গেলি ?
– আমি তোকে ভুলিনী, তুই আমার কাছ থেকে দূরে চলে গেছিস।
– কেন গেছি তু্ই জানিস না ?
– না।
– জানবি কেমন করে ? আমি তো তোর কেউ ছিলাম না।
– এমন ভাবে বলিস কেন ? তু্ই তো জানিসই আমি একটু কম বুঝ। বললেই পারিস।
– আমি তোর পাশে অন্য কাউকে সহ্য করতে পারি না।
– একবার বললেই পারতি !!
– কেন বলব ? তুই বুঝিতে পারিস না ?
– বুঝলে কি আর তোর থেকে দূরে থাকতাম।
দুজনেই চুপ। কিছুটা সময় নিরবতার পর দিশা বলে উঠল,
– চুপ কেন ?
– এমনিই।
– কাউকে ভালোবাসিস ?
– না।
– ভালোবাসতি ?
– হ্যা।
– সেদিন বলিসনী কেন ?
– বলার সাহস ছিলো না।
– কেন ?
– তোকে হারানোর ভয়ে।
– কেন হারাবি আমায় ?
– তোকে বলার পর যদি তুই “না” বলে দিস। যদি তুই চলে যাস আর আমাদের বন্ধুত্বটা নষ্ট করে দিস।
– তুই কেমন করে ভাবলী “তোকে ছেড়ে আমি চলে যাবো ?”
– তাহলে এই দুই বছর কোথায় ছিলি ?
– ওটা তো……………….!!! থাক পুরানো কথা বাদ দে।
– ok, দিলাম।
আবারো নিরবতা দুজনের মাঝে। প্রকৃতি টাও কেমন যেন ওদের সাথে শান্ত হয়ে গেল । মনে হচ্ছে আকাশেরও বুঝি আজ মন খারাপ। এই বুঝি কান্না শুরু করবে।
– কিছু বলবি ?
– কি বলবো ?
– যা ভাবছিস এখন।
– তুই বলতে পারিস না ?
– না।
– কেন ?
– তুই জানিস না, “মেয়েদের বুক ফাটে তো মুখ ফাটে না”।
– কেন ফাটে না ? তোরা ফাটাতে চাসনা দেখেই ফাটে না।
– হা……..হা……..হা……..হা……..!!!
– তোর হাসিটা এখনো আগের মতোই সুন্দর। (দিশার দিকে তাকিয়ে বিপলু)
– যাক বাবা, আমার হাসির কারণে হলেও তুই একবারের জন্য আমার দিকে তাকালি। এতক্ষণ তো আমার মনে হয়েছিলো আমি কোন রোবটের সাথে কথা বলছি।
– (চুপ)
– আচ্ছা আমি আসি (দিশা উঠতে যাবে ঠিক তখনি দিশার হাত ধরে ফেলল বিপলু)
– বস।
– কেন বসবো ? তুই তো কিছু বলবি না !!!
– বস বলছি।
– বল, কি বলবি ?
– আমার হাতটা একটু শক্ত করে ধরবি ?
– হুম ধরলাম।
– ছোটবেলায় তোকে হরলিক্স খাওয়ানী ?
– কেন ? (বিস্মিত হয়ে)
– তোকে শক্ত করে ধরতে বলসি, স্পর্শ করতে বলিনী।
– ok বাবা, ধরলাম। এবার বল কি বলবি ?
– দিশা, আমি…….
– হুম….!!
– আমি……
– তারপর ?
– তোকে…
– হুম…..!!
– তোকে…
– তোকে কি …..??
– আমি একটু পানি খাবো, একটু পানি দে…। (হতবিহ্বল হয়ে পড়লো বিপলু)
– (হাত ছেড়ে দিয়ে রাগান্বিত হয়ে) যা ওই দোকান থেকে খেয়ে আয়।
– তোর কাছে নেই ?
– না।
বিপলু উঠে পানি খেতে চলে গেল। এমন ভাবে গেল মনে হয় কত বছরের তৃষ্ণাত। অপর দিকে দিশার মনটা খারাপ হয়ে গেল। আজ দুই বছর পর ওদের দেখা অথচ বিপলু ওর মনের কথাটা আজও বলতে পারলো না। আজ থেকে ঠিক তিন বছর আগে এই দিনে দিশার সাথে বিপলুর প্রথম পরিচয় হয়। বন্ধুত্বের কিছুদিন পরেই দিশাকে ভালোবাসতে শুরু করে বিপলু। দিশাও ব্যাপারটা বুঝতে পারে কিন্তু না বুঝার ভান করে থাকে। মেয়েদের এই এক স্বভাব, “বুক ফাটে তো মুখ ফাটে না”। ওই দিকে বিপলু নানা কথা-বার্তায়, চাল-চলনে দিশাকে বুঝাতে চেষ্টা করে যে সে দিশাকে ভালোবাসে। দিশা বুঝেও সবসময় না বুঝার ভান করে থাকতো। কারণ, দিশা সবসময় চাইতো বিপলু দিশাকে সরাসরি প্রপোজ করুক। সব মেয়েরেই এই রকম স্বপ্ন থাকে যে তার ভালোবাসার মানুষ তাকে আগে প্রপোজ করুবে, তার মনের কথাটা বলবে কিন্তু বিপলু সেটা পারছে না শুধুমাএ বন্ধুত্বটা নষ্ট হওয়ার ভয়ে। কোনদিন আর পারেওনী। মাঝে অন্য একটা ছেলের জন্য দুই জনের বন্ধুত্বের ফাটল দেখা দেয়। অতঃপর দীর্ঘ দুই বছর পর আজ আবার তাদের দেখা কিন্তু বিপলু আজও দিশাকে মনের কথা না বলায় দিশার মন খারাপ।
৩০ মিনিট হয়ে গেল বিপলু এখনো আসছে না। দিশা ফোন দিলো কিন্তু বিপলু ফোনটাও ধরছে না। হয়তো বিপলু চলে গেছে, হয়তো বিপলুর আজও বলার সাহস হয়নী এমনটা ভেবে দিশা উঠে দাড়ালো। হঠাৎ পিছন থেকে কে যেন “দিশা” বলে চিৎকার দিয়ে উঠল। দিশা পিছনে ফিরে তাকালো। আরে এতো বিপলু ! ও একটু দূরে হাটুগেড়ে বসে আছে, হাতে এক গুচ্ছ লাল গোলাপ। বিপলু লাল গোলাপ গুলো দিশার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে চিৎকার করে বলে উঠল,
– দিশা……, I……Love……You……..!!!
লেকের পাড়টা যেনো বিপলুর চিৎকারে কেপেঁ উঠল। লেকের পাড়ের উৎসুক মানুষ গুলোর দৃষ্টি এখন শুধু বিপলু আর দিশার দিকে। এমন দৃশ্য হয়তো আজ বিরল তাই কেউ কেউ ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে গেল। অন্য দিকে দিশা অপলক দৃষ্টিতে বিপলুর দিকে তাকিয়ে রইল। যে বিপলু ভালোবাসি কথাটা বলতে তিন বছর সময় নিলো, যে বিপলু মনের কথাটা বলতে গেলে হাত কাপঁতে শুরু করে সেই বিপলু আজ পুরো পৃথিবীর সামনে প্রপোজ করল। এটা ভাবতেই দিশা অবাক হয়ে গেল। দিশা কেমন যেনো নিস্তব্ধ হয়ে গেলো। দিশার বিস্ময় যেনো কাটছে না। বিপলু সত্যি আজ প্রপোজ করল নাকি দিশা স্বপ্ন দেখছে। কেন যেনো আজ নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না দিশা। সব কিছুই যেনো আজ স্বপ্ন মনে হচ্ছে। এই সব কথা ভাবতে ভাবতে দিশার চোখে পানি চলে আসল।
– কিরে আর কতক্ষণ বসে থাকবো ??
বিপলুর কথায় যেনো জ্ঞান ফিরল দিশার। দিশা আস্তে আস্তে বিপলুর দিকে এগিয়ে আসলো। বিপলুর হাত থেকে ফুলের তোড়াটা নিলো। বিপলু উঠে দাড়ালো। দিশা বিপলুর দিকে তাকিয়ে স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে রইল।
কিছুক্ষণ পর_________
– কিরে, কিছু বলবি না ?
– কি বলবো ? (দিশার চোখের পানি)
– তুই কাঁদছিস কেন ?
– মাইর খাবি। এই কথাটা বলেতে এত সময় লাগলো ???
– ওকে, সরি…..।
– কানে ধর।
– কার ? তোর না আমার ?
– তোর, শয়তান। (ধমক দিয়েই বলল দিশা)
বিপলু কানে ধরতে যাবে ঠিক তখনি দিশা “I Love You Too” বলে বিপলুকে জড়িয়ে ধরল। দিশার চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগলো। বিপলু জানে দিশার চোখে আজ কোনো কষ্টের কান্না ছিলো না, যা ছিলো তা ছিলো আনন্দের। আর বিপলুর চোখে-মুখে ছিলো আনন্দের হাসি। গত দুই বছর বিপলু দিশার জন্য অনেক কেঁদেছে, সেই কাঁন্না আজ হাসিতে রুপান্তরিত হয়েছে।
মরাল : সত্যিকারের ভালোবাসায় যতই ফাটল ধরুক না কেন, একদিন না একদিন মিলন ঠিকই হয়______।

Read More

অপেক্ষার অন্ত্যমিল

অপেক্ষার অন্ত্যমিল
547058_541827475827931_680906457_n
একদিন জ্যামিতিবক্সের ভেতর পেলাম
একটি চার ভাঁজের চিরকুট!
লেখাটা তোমার বুঝতেই দাঁড়ালাম মুখোমুখি,
বললাম কী চাই তোমার?
কিছুক্ষণ অবাক চোখে তাকিয়ে থেকে বললে
“একটি সোনালি লাল জরি পাড়ের শাড়ি পরে থাকবে
আমার অপেক্ষায়,
ভেজা চুলে মিশে থাকবে মাটির সোঁদা গন্ধ,
বিন্দু বিন্দু জলের ধারা ভিজিয়ে দেবে আঁচল!
আমি উদভ্রান্তের মতো ছুটে যাবো তোমার কাছে,
খুঁজে নেবো ছন্দের অন্ত্যমিল!”
রাগ করে বললাম
ভালোবেসে অপেক্ষায় থাকা ছাড়া মেয়েদের
আর কোন কাজ নেই বুঝি?
তারপর ভোরের শুরু
ক্লান্ত বিকেল,
ভাত ঘুমের অবসরেও একাকী! ভীষণ পাগলাটে তোমার জন্য।
তারপর
তারপর একদিন প্রতীক্ষার পালা শেষ করে
আলতো করে হাত রাখলে কাঁধে,
মুখ না ঘুরিয়েই বললাম
“প্রিয় কারো জন্য এলোচুলে অপেক্ষা
পৃথিবীর সুন্দরতম শিল্পের অন্য এক নাম!
Read More

তবুও তুমি যে আমার কাছে নিঃশ্বাসের চেয়েও অনেক বেশি প্রিয়

তবুও তুমি যে আমার কাছে নিঃশ্বাসের চেয়েও অনেক বেশি প্রিয়
1964908_443861492411183_20011328_n
তোমার অবহেলা কুড়িয়ে কুড়িয়ে
ভরে গেছে আমার শাড়ির আঁচলে মোড়ানো কোচড়!
কাঁদতে কাঁদতে
জল শুকিয়ে গেছে চোখের সেই কবে।
জজন খানেক বার অভিমান করে বলেছি ফিরবোনা
ছুটবোনা মরীচিকার পেছনে।
তোমার মুখে অন্য নারীর কথায়
ঈর্ষার আগুনে পুড়েছি কতবার।
নিজেকে জ্বালিয়ে নিতে চেয়েছি
তোমার উপর প্রতিশোধ!
ভুল নদীতে ঝাঁপ দিতে গিয়ে
সরে এসেছি
একদম শেষক্ষণে!
ভাঙা আয়নায় মুখ দেখিনি
নষ্ট শামুকে পা কাটেনি
তবুও আমায় চাওনি তুমি!
কখনোই ভুল করেও বলোনি
“আমার কালো গোলাপ!”
আষাঢ়ের জলে ভিজে
চৈত্রের রোদে পুড়ে তোমার অপেক্ষায় কাটিয়েছি গত হয়ে যাওয়া বসন্ত!
তবুও তুমি যে আমার কাছে নিঃশ্বাসের চেয়েও অনেক বেশি প্রিয়
এবং আমি তোমাকে ভালোবাসি!
youtube-- Tapash presents
Read More

বৃষ্টির অভিমান

বৃষ্টির অভিমান
564624_305251459546361_100001845291580_761400_1638376534_n

-অনিক আহমেদ সুমন

বৃষ্টি আমার সাথে আজ করেছে অভিমান
কতদিন হলো বৃষ্টি ধারায় করিনি সুখস্নান
বৃষ্টিজল ঝরেছে সবকিছু ছুয়েছে
জাগিয়েছে প্রকৃতিতে প্রাণ
তবু আমি ভিজিনি বৃষ্টি ছুয়ে দেখিনি
গাইনি বৃষ্টিজলের গান
বৃষ্টি নামে অচীন গ্রামে আকাশও কালো হয়
তবু আমার বৃষ্টি দেখার এখনও হলোনা সময়
একটু খানি বৃষ্টি পানি ছুয়ে দেখার জন্য
করেছি আমি কত পাগলামি পেরিয়েছি কত অরণ্য
অথচ আজ বৃষ্টি সুরে যাচ্ছি দূরে বহু দূরে
খুজে পাচ্ছিনা টান
তাই বৃষ্টিজলের দুচোখ জুড়ে
ঝাপসাটে অভিমান।।।
Read More

নীরব ভালোবাসা

নীরব ভালোবাসা

এটা একটা বাংলাদেশের কোন এক মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি ছেলে ও একটি মেয়ের নীরব প্রেমের গল্প। মেয়ের পরিবার চিরাচরিত নিয়মে ছেলেটাকে গ্রহন করতে অস্বীকৃতি জানায়। স্বাভাবিকভাবেই মেয়ের পরিবার মেয়েটাকে বুঝানোর চেষ্টা করে যে ছেলেটার খুব একটা ব্রাইট ফিউচার নেই, তার সাথে সম্পর্ক রাখাটা বোকামি ছাড়া আর কিছু না।
পরিবারের চাপে পড়ে একদিন মেয়েটা ছেলেটাকে বলে, “আমার প্রতি তোমার ভালোবাসা কতটা গভীর? তুমি একটা কিছু অন্তত করো। তাছাড়া আমাদের সম্পর্ক কেউ মেনে নিবে না।” ছেলেটা কোন উত্তর খুঁজে পায় না। সে চুপ করে থাকে। মেয়েটা রাগ হয়ে চলে যায়। তারপরেও স্বপ্নবিলাসী ছেলেটা তাদের ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে, কিছুটা অন্জন’দা এর গানের মতো, “সাদা-কালো এই জন্জালে ভরা মিথ্যে কথার শহরে, তোমার-আমার লাল-নীল সংসার।”
ছেলেটা একদিন হায়ার-স্টাডিসের জন্য বিদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যাওয়ার আগ-মুহূর্তে সে মেয়েটাকে বলে, “আমি হয়তো কথায় খুব একটা পারদর্শী না, কিন্তু আমি জানি যে আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তারপরেও তুমি যদি চাও, তোমার-আমার বিয়ের কথা আমি তোমার পরিবারকে একবার বলে দেখতে পারি। তুমি কি আমার সাথে সারাজীবন কাটাতে রাজি আছ?”
মেয়েটা ছেলের দৃঢ়-সংকল্প দেখে রাজি হয়। ছেলেটা মেয়ের পরিবারকে অনেক বুঝিয়ে রাজি করে ফেলে। তারপর তাদের এনগেজমেন্ট হয়ে যায় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ছেলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশে ফিরলে তারপর তাদের বিয়ে হবে। এরপর ছেলেটা চলে যায় দেশের বাইরে।
মেয়েটা একটা অফিসে জব করা শুরু করে দেয়। এদিকে ছেলেটাও তার রিসার্চ-ওয়ার্ক নিয়ে দেশের বাইরে ব্যস্ত। তারপরেও তারা শত ব্যস্ততার মাঝেও ফোন আর ই-মেইলের মাধ্যমে তাদের ভালোবাসার অনুভূতি যতটা সম্ভব আদান-প্রদান করে।
একদিন মেয়েটা অফিসে যাওয়ার পথে রোড-অ্যাক্সিডেন্ট করে। সেন্স ফিরে সে দেখতে পায় যে সে হাসপাতালে ভর্তি এবং বুঝতে পারে যে সে মারাত্মকভাবে আহত। তার বাবা-মাকে বিছানার পাশে দেখতে পায় সে। তার মা কান্না করতেছে তা বুঝতে পেরে যখন মেয়েটা কথা বলতে যায় তখন সে বুঝতে পারে যে তার বাকশক্তি লোপ পেয়েছে। ডাক্তারের ভাষ্যমতে মেয়েটা তার ব্রেনে আঘাত পাওয়ায় আজীবনের মতো বোবা হয়ে গেছে।
একসময় মেয়েটা খানিকটা সুস্থ হয়ে বাসায় চলে আসে। এদিকে ছেলেটা তাকে বার বার ফোন করতে থাকে কিন্তু মেয়েটা বোবা বলে তার করার কিছুই থাকে না। মেয়েটা একদিন একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। সে তার কথোপোকথন-হীন এই জীবনের সাথে ছেলেটাকে আর জড়াতে চায় না।
তার ফলশ্রুতিতে সে একদিন একটা মিথ্যা চিঠিতে লেখে যে সে আর ছেলেটার জন্য অপেক্ষা করতে পারবে না। তারপর মেয়েটা চিঠির সাথে তার এনজেজমেন্ট রিং ছেলেটার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়। ছেলেটা মেয়েটাকে হাজার-হাজার ই-মেইল করে কিন্তু তার কোন রিপ্লাই সে পায় না। ছেলেটা শত-শত বার ফোন করে কিন্তু মেয়েটার ফোন রিসিভ না করে নীরবে কান্না করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না।
একদিন মেয়েটার পরিবার বাসা বদল করে অন্য কোন এলাকায় নতুন কোন একটা পরিবেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় যাতে করে মেয়েটা কিছুটা হলেও এই দুঃস্মৃতী ভূলে যায় এবং সুখে থাকে।
নতুন পরিবেশে মেয়েটা “সাইন-ল্যাংগুয়েজ” শেখে এবং নতুন জীবন শুরু করে। বছর দুয়েক পর একদিন মেয়েটার এক বান্ধবী এখানে চলে আসে এবং মেয়েটাকে বলে যে ছেলেটা দেশে ব্যাক করেছে। মেয়েটা তার বান্ধবীকে রিকুয়েস্ট করে যাতে ছেলেটা কোনভাবেই যেন তার এই অবস্থার কথা জানতে না পারে। তারপর কয়েকদিন পর মেয়েটার বান্ধবী চলে যায়।
আরো এক বছর পর আবার একদিন মেয়েটার বান্ধবী মেয়েটার কাছে একটা ইনভাইটেশন কার্ড নিয়ে চলে আসে। মেয়েটা কার্ড খুলে দেখতে পায় যে এটা ছেলেটার বিয়ের ইনভাইটেশন কার্ড। মেয়েটা অবাক হয়ে যায় যখন পাত্রীর জায়গায় তার নিজের নাম দেখতে পায়। মেয়েটা যখন তার বান্ধবীর কাছে এ সম্পর্কে কিছু জানতে চাইবে তখন সে দেখতে পায় যে ছেলেটা তার সামনে দাঁড়িয়ে। ছেলেটা তখন “সাইন ল্যাংগুয়েজ” ব্যবহার করে মেয়েটাকে বলে, “I’ve spent a year’s time to learn sign language. Just to let you know that I’ve not forgotten our promise. Let me have the chance to be your voice. I Love You.” এই বলে ছেলেটা আবার সেই এনগেজমেন্ট রিং মেয়েটাকে পড়িয়ে দেয়। কয়েক বছর পর মেয়েটা আবার হেসে উঠে। এ যেন এক নীরব ভালোবাসার নীরব হাসি।
Read More

ভালবাসি কিন্তু বলতে পারিনি

ভালবাসি কিন্তু বলতে পারিনি
21394_326941890737651_1868554189_n
প্রতিদিনের মত আজও ছেলেটি এপ্রন হাতে বাস- স্ট্যান্ড এ দাড়িয়ে বাস এর জন্য ওয়েট করছে।
লিজা আজও তাকে দেখল।
সে মেডিকেল এর স্টুডেন্টদেরকে দুই চোখে দেখতে পারেনা।কেননা, সে নিজে মেডিকেল এ চান্স পায়নি।
কিন্তু এই ছেলেটাকে একটু অন্য রকম লাগে তার।
অন্যান্য মেডিকেল এর স্টুডেন্টদের কে দেখলে তার মাঝে যেমন বিরক্তি আসে এই ছেলেটিকে দেখলে তেমন বিরক্তি আসে না।
বরং এই ছেলেটিকে দেখার জন্যই লিজা প্রতিদিন একই বাস স্ট্যান্ড এ আসে। অন্য কোন পথ দিয়ে যাতায়াত না করে এই পথ দিয়েই আসে সে।
লিজা মেয়েটা একটু অন্যরকম ছিল।
অন্যরকম বলতে, সে এমন ভাব করে যেন প্রেম-ভালবাসার ধারে কাছে সে নেই। কিন্তু মনে মনে সে এক ধাপ এগিয়ে।
বাস স্ট্যান্ড এর ওই ছেলেটার নাম ছিল রনি।
রনিও লিজা কে চুপচাপ লক্ষ করত।
মাঝে মাঝেই তাদের একে অপরের সাথে চোখাচোখি হত।
বাস এ রনি যখন দেখত লিজা দাড়িয়ে আছে আর সে বসে আছে তখন নিজের সিটটাও ছেড়ে দিত।
কিন্তু তারা কখনও একে অপরের সাথে কথা বলেনি।
এমনকি তারা একে অপরের নামটাও জানতোনা।
লিজা প্রতিদিনই হাজারও বুদ্ধি বের করত রনির সাথে কথা বলার কিন্তু কাজের সময় আর বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে পারতোনা।
প্রতিদিনের মত আজও লিজা চিন্তা করতে লাগল ব্যাপারটি নিয়ে।
যেহেতু লিজা একটু
চাপা স্বভাবের , তাই
সে এই ব্যাপারে কারও কাছে পরামর্শও চায়নি।
দুদিন বাদেই ১৪ই ফেব্রুয়ারী।
সে ঠিক করল ওই দিনই ছেলেটিকে সব বলবে ও।
যেই লিজা জীবনে কখনও ফুল কেনেনি, সে-ই ১৪ই ফেব্রুয়ারী সকালে নিজে ফুল কিনতে গেল।
নিজের পছন্দের ফুল হাতে নিয়ে সে বাস স্ট্যান্ড এ দাড়িয়ে আছে ছেলেটির অপেক্ষায়…
বেশিরভাগ সময় বাস স্ট্যান্ড এ ছেলেটিকেই আগে আসতে দেখা যেত।
আগে দেখা না গেলেও ১০-২০ মিনিটের মধ্যে চলে আসত।
কিন্তু আজ ৪০ মিনিট দাড়িয়ে থাকার পরেও ছেলেটির কোন খবর
নেই।
আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করল লিজা।
কিন্তু এর পরেও ছেলেটির কোন দেখা নেই।
নিজেকে খুব বোকা মনে হল লিজার।
মনে মনে ভাবল…
“ছেলেটির হয়তো প্রেমিকা আছে। না, হয়তো কেন হবে।
অবশ্যই আছে। মেডিকেল এ পড়ে, দুই দিন বাদে ডাক্তার হবে। দেখতেও তো খারাপ নয়।
প্রেমিকা থাকবেনা কেন??
১৪ই ফেব্রুয়ারীতে প্রেমিকাকে ছেড়ে সে এই বাস স্ট্যান্ড এইবা আসবে কেন???”
ওই দিন লিজা চলে গেল। ঠিক করল আর কোন দিন ওই বাস স্ট্যান্ড এই যাবেনা। না সে আর যায়নি… গেলেও অনিচ্ছাকৃত ভাবে।
তবে যখনই সে ওই বাস স্ট্যান্ড পার হয়েছে তখনই বাসের অপেক্ষায়
দাড়িয়ে থাকা মানুষ গুলোর দিকে তাকিয়ে থেকেছে।
কিন্তু রনি কে দেখেনি…
কিছুদিন পর লিজার বিয়ে ঠিক হল।
বিয়েটি ঠিক করল লিজার মা।
লিজা কোন আপত্তি করে নি।
যদিও সে রনি কে ভুলতে পারেনি।
বিয়ের পর কিছুদিন ভালই কাটল।
তারপর একদিন লিজা তার বরের ঘরে একটি ছবি খুজে পেল।
ছবিতি দেখে আঁতকে উঠল লিজা।
এটি সেই ছেলের ছবি।
লিজা তার বরের কাছে জানতে চায়…
“ছেলেটি কে?? ”
জবাবে তিনি জানান…
“ছেলেটির নাম রনি।
মেডিকেল এ পড়ত।।
বছর ২ আগে ১৪ই
ফেব্রুয়ারী তে সে রোড এক্সিডেন্ট এ মারা যায়।
মারা যাওয়ার সময় তার হাতে ফুল ছিল আর ছিল একটি চিঠি…
তার সাথে নাকি প্রতিদিন এক মেয়ের দেখা হত বাস
স্ট্যান্ড এ।
সে তাকে Propose করার জন্যই ওই দিন বাস স্ট্যান্ড এ যাচ্ছিল।
দুঃখের বিষয় সে মেয়েটির নাম বলতে পারেনি।
কোন ঠিকানাও দিতে পারেনি…
সবটা পড়ার পর আপনার অনুভূতি জানাবেন না জানালে মনে করব আমার হাতের লেখা খুব খারাপ তাই সব পড়েন নি।দুঃখ টা নিজের বুকেই চেপে রাখবো।




Read More

প্রেম-ভালোবাসার গল্প

প্রেম-ভালোবাসার গল্প


জানুয়ারীর এক ঠান্ডা বিকেলের কথা । আমি বসে ছিলাম শহরের নির্জন অংশের ছোট্ট একটা কফিশপে । এক হাতে ছিল এক মগ এক্সপ্রেসো কফি, আরেক হাতে একটা রগরগে চাররঙের ম্যাগাজিন । শীতটা সে বছর একটু বেশিই পড়েছিল, পশমের মোটা পুলওভার, ধোয়া ওঠা এক্সপ্রেসো কফি আর ম্যাগাজিনের পাতার উত্তেজক বিদেশী নায়িকাদের সাংঘাতিক নাভি-পেট বুক কিছুই ওম দিচ্ছিল না । জানুয়ারীর হিম রক্তের ভেতরঢুকে পড়ে পুরো শরীর জুড়ে একধরণের শিরশিরানো অনুভূতি জাগাচ্ছিল ।
এরকম এক শীতের বিকেলে তার সাথে প্রথম পরিচয় । সেও এসেছিল কফি খেতে । বসেছিল আমার ঠিক সামনের টেবিলে । আশ্চর্যের ব্যাপার এত কাছে থাকা এবং যথেষ্ট সুন্দরী হওয়া সত্ত্বেও তারদিকে আমার চোখ পড়েনি ।
সে যখন ধীর পায়ে আমার টেবিলে এসে বলেছিল, " আপনি খুব চমত্‍কার অভিনয় করেন ।" তখনই আমি মেয়েটার দিকে তাকালাম । তার মাথাভর্তি ছিল আলুথালু বাদামি রঙের চুল, খাড়া নাক,গভীর গভীর দুটো চোখ, পাতলা ঠোঁট, গায়ে চকোলেট রঙা একটামেয়েদের জ্যাকেট আর গলায় প্যাচানো কাশফুলের মতো শাদা একটা উলের ওড়না ।
আমি কিছুটা থতমত খেয়ে তাকে বসতে বলেছিলাম । বসতে বসতে মিষ্টি এক চিলতে হাসি হেসে সে আবার বলেছিল, "আপনি খুব ভালো থিয়েটার করেন।" ক'দিন আগে স্থানীয় একটা সরকারী কলেজে আমরা একটা নাটক করেছিলাম, এই মেয়ে সম্ভবত ঐকলেজের ছাত্রী । আমি একটু লজ্জার হাসি হেসে বলেছিলাম, "ঐ আর কি ।"
এই ভাবে শুরু হলো... । আমি সেদিন জোর করে তার কফির বিলটা দিয়ে দিয়েছিলাম, আর সে পার্চ থেকে একটা গোলাপী নোটপ্যাড বের করে টুকে নিয়েছিল আমার মোবাইল নাম্বারটা ।
তারপর থেকে মোবাইল ফোনে টুকটাক কথা, এস এম এস, মাঝে মাঝে কফিশপে আড্ডা, তারও পরে, যাহয় আর কি, আমরা প্রেমে পড়ে গেলাম ।
মেয়েদের ক্ষেত্রে একটা অভিযোগ প্রায়ই আনা হয়, তারা নাকি ছেলেদের টাকা-পয়সাটাই আসলে পছন্দ করে । আমিও এরকমই ভাবতাম, কিন্তু ও সামান্য কফি ছাড়া আর কিছুই খেতে চাইতো না, আর এটা ওটা কিনে দিলে তো রীতিমতো ফণা তুলতো, এতে নাকি ওর ইগোতে আঘাত করা হয় । ও পছন্দ করতো হাত ধরাধরি করে রেল লাইন বা নদীর ভেজা পাড় ধরে খালি পায়ে হাঁটতে । আর হাঁটতে হাঁটতে প্রায়ই একটা অবিশ্বাস্য কাজ করত : ইনিয়ে বিনিয়ে আমার চেহারার প্রশংসা করত । প্রথমে পাত্তা দিতাম না, ভাবতাম মজা করছে, কিন্তু আস্তে আস্তে বুঝলাম, কোন এক বিচিত্র কারণে আমার কালো কার্টুনের মতো চেহারাটা ওর মনে ধরে গেছে । বলতে লজ্জা নেই, তারপর থেকে আমি নিজেকে আয়নায় খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা আরম্ভ করলাম । এবং আশ্চর্যের ব্যাপার ক'দিনের ভেতর প্রথমবারের মতো মনে একটা ক্ষীণ সন্দেহ জাগলো : আমি মনে হয় দেখতে ভালোই ।
সেই থেকে নিজের চেহারার যত্ন আত্তি শুরু করে দিলাম । কসমেটিকের দোকান থেকে ফেসওয়াশ, ফেয়ারনেস ক্রিম, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার কিনে আনলাম । চেহারার সাথে মানানসই দেখে নতুল কায়দায় চুল রেখে দিলাম । দু'দিন পর পর ফোম শেভ করতে লাগলাম ।
আমার মনে হলো, শুধু চেহারা ভালো করলে হবে না সাথে শরীরটাও যুতসই করা দরকার । ভর্তি হয়ে গেলাম শহরের অভিজাত একটা জিমে । পাল্টে ফেললাম দৈনন্দিন খাবারের মেনু । বয়স, উচ্চতা আর ওজনের কথা মাথায় রেখে ক্যালোরি মেপে মেপে খাওয়ার অভ্যাস করলাম ।
একমাসের ভেতর আমার শরীর চেহারা পোশাক আশাকে এক অভাবনীয় পরিবর্তন আসল । কী বলব, নিজেই নিজের প্রেমে পড়ে গেলাম ।
ওর সাথে ঘুরতে বেরোই, একথা সেকথার পর ও পায়ের নখের দিকে তাকিয়ে মৃদু গলায় বলে,তুমি দিনকে দিন আরো বেশী সুন্দর হচ্ছ । আমি মনে মনে নিজের পিঠ চাপড়াই আর বাসায় যেয়েঅমনি আয়নার সামনে দাঁড়াই । এইভাবে নিজের প্রতি আমার ভালোবাসা প্রতিদিন একটু একটু করে বাড়তে লাগল ।
আরো কিছুদিন পর, যে দিন আমি আবিষ্কার করলাম, পৃথিবীর যে কোন কিছুর চেয়ে আমি আমার যত্নে করা গড়ে তোলা শরীর এবং চেহারাটাকে অনেকগুন বেশী ভালোবাসি, সেদিন ও আচমকা রোড য়্যাক্সিডেন্ট করল । প্রচুর রক্তক্ষরণ হল । ডাক্তার বলল, দ্রুত রক্তের ব্যাবস্থা করুন ।
ওর আর আমার রক্তের গ্রুপ একই, তবুও আমি ডাক্তারের কাছে জানতে চাইলাম, কোনো ব্লাড ব্যাংকে ঐ গ্রুপের রক্ত আছে কি না, কেননা আমি ততদিনে নিজেকে সবচে' ভালোবাসতে শিখেছি ।
ভালোবাসার শরীর থেকে কে রক্ত ঝরাতে চায় বলুন?
Read More